চাঁদাবাজিকালে জব্দকৃত এক হাতি কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।। তবে হাতির মাউত পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মুরাদনগর থেকে জেলা বন বিভাগের লোকজন হাতিটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার দাউদকান্দি ও মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত শনিবার থেকে হাতিটি নিয়ে চাঁদা তুলছিল তার সঙ্গে থাকা মাহুত। এক পর্যায়ে হাতিটি হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে যায়। এ সময় দাউদকান্দি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। পরে নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন মাহুত হাতিটিকে আঘাত করতে থাকে। এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নজরে এলে তিনি হাতিটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম জানান, ৭০/৭২বছর বয়সী হাতি দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও পথচারীর নিকট থেকে মাউত টাকা আদায় করছিলেন। পরে খবর পেয়ে বন ও বন্যপ্রাণি বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লিার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালায়।
এসময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে হাতির মাউত হাতিটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হাতিটি জব্দ করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। পরে হাতিটি পার্কের হাতি শালায় আলাদাভাবে আটকে (কোয়ারান্টাইনে) রাখা হয়েছে। হাতির মালিক ও মাউতের পরিচয় জানা যায়নি। এভাবে বন্যপ্রাণি ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করা সম্পূর্ণ অবৈধ।