কুমিল্লার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। এতে চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরাও।
সরেজমিনে কান্দিরপাড়, টমছমব্রিজ, রাজগঞ্জ, শাসনগাছা,জাঙ্গালিয়া, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, আলেখারচর বিশ্বরোড ও কোটবাড়ি বিশ্বরোড ঘুরে দেখা গেছে, সিএনজি অটো রিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে জিবির টোকেন দিয়ে এখন আর কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায় না।
সিএনজি চালক জসিম বলেন, ‘ছাত্ররা যেভাবে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা সত্যিই অসাধারণ। সারা দিনে কোথাও কোনো রকমের চাঁদা দিতে হয় নাই। এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সুমন মিয়া জানান, ‘আগে তারা যখন গাড়ি চালাত, বিভিন্ন জায়গায় জিবির টাকা দিতে হত। এখন রাস্তায় দিতে হচ্ছে কোনো ধরনের চাঁদা। আমরা ছাত্রদের এই কর্মকাণ্ডে অনেক খুশি।’
টমছমব্রিজ কথা হয় রোকেয়া বেগম নামে এক যাত্রীর সাথে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু জিবির টোকেনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে তাহলে ভাড়া কমানো উচিৎ। আগে চালকরা বিভিন্ন অযুহাতে ভাড়া বেশি নিত আমাদের কাছ থেকে।’
এ বিষয়ে নগরীর ঈদগাহ এলাকার সিএনজি অটোরিকশাচালক মাহবুব হোসেন জানান, ঈদগাহ থেকে সিএনজি ছাড়লে ৫০ টাকা, ফকিরবাজার গেলে ২০ টাকা, শংকুচাইল ছিল ২০ টাকা এবং বাগড়া সিএনজিস্ট্যান্ডে দিতে হতো ৫০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে দেড় শ টাকা চাঁদা দিতে হতো। ৫ তারিখের পর থেকে আর কেউ চাঁদা নিতে আসে না। খুব ভালো লাগছে।
এ বিষয়ে কোটা আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাকিব হোসেন জানান, যতগুলো দাবি ছিলো তার মধ্যে অন্যতম একটি দাবি ছিলো পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যারাই দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা যেন বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত রাখেন।