জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে কুমিল্লাসহ সারাদেশে (ঢাকা বিভাগ ব্যতীত) কিশোরীদের বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) পরিচালিত এ কার্যক্রম চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সহায়তায়। আর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।
এদিকে কুমিল্লায় শুরু হতে যাওয়া হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইনের জেলা পর্যায়ের এডভোকেসি সভা বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নাছিমা আকতার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন কুমিল্লা, জেলা প্রশাসক কুমিল্লা প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক, উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পরিবার পরিকল্পনা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (সকল উপজেলা) সহ জেলা পর্যায়ের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর সমূহের প্রতিনিধি, ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি ও অত্র কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কিশোরীরা বিনামূল্যে Vaxepi অ্যাপ অথবা vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে একডোজ টিকা নিতে পারবেন। এ জন্য ছাত্রীদের vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্ম সনদের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুই জন কিশোরীকে দেয়া হবে। এটি এক ডোজের টিকা, যা মাংসপেশিতে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৩১ দেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা দেয়া হয়েছে আর সারভিক্স টিকাটি ২৪টি দেশে দেয়া হয়েছে।’