কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সমেষপুর এলাকার একটি মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে সিয়াম (১১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে মাদ্রাসাটির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশুটি মাদ্রাসার আবাসিক ভবনেই থাকত।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের সমেষপুর মারকাজুল তালিমুওয়াজ তারবিয়াহ কওমি মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে সিয়ামকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ তার বাবাকে মুঠোফোন জানায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে খোঁজাখুঁজির জন্য মাইকিং করা হয়। পরে বরুড়া থানায়ও অবগত করা হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার স্টোররুম থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে স্টোররুমের মেঝেতে শিশু সিয়ামের লাশ পাওয়া যায়।
শিশুটির মামা হেদায়েতুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, মাদরাসা থেকে জানানো হয়, সিয়ামকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর পরিবারের সবাই সিয়ামকে খুঁজতে থাকেন। গত ৩ মাস আগে সিয়ামের খালার সঙ্গে ওই মাদরাসার বাবুর্চি জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর জেরেই সিয়ামকে তিনি মেরে চলে যান। সিয়াম যেদিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঠিক সেদিন থেকে বাবুর্চি জাহাঙ্গীর মাদরাসা থেকে উধাও হয়ে যান। তিনি সিয়ামকে হত্যা করেছেন। আমরা তার ফাঁসি চাই।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুটি যে মাদ্রাসায় পড়ত ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি জাহাঙ্গীরই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের টিম কাজ করছে।