
কুমিল্লা জেলায় সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে কথিত ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ’-এর মিছিল ও নাশকতা ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-কে প্রত্যাহারের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা পুলিশ।
‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। যার ফলে সড়ক-মহাসড়কসংলগ্ন থানার পুলিশ সদস্যরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
সূত্র মারফত জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরেই ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে লক্ষ্যবস্তু করে নানামুখী নাশকতামূলক তৎপরতা চালাচ্ছে। সংগঠনটি ইতোমধ্যে জেলার মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দফায় দফায় ঝটিকা মিছিল ও নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে। এই অপতৎপরতা রুখতেই পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নাশকতা ঠেকাতে আমি নিজে নিয়মিত সড়কে দায়িত্ব পালন করছি। জেলা পুলিশের সাথে আমাদের নিবিড় সমন্বয় রয়েছে। মহাসড়কে অপরাধ প্রবণতা রুখতে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।”
অন্যদিকে, দাউদকান্দি থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী জানান, “মহাসড়কে নাশকতার প্রস্তুতিকালে গত এক সপ্তাহে আমরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি। মহাসড়কে আমাদের টহল এবং গোয়েন্দা তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে আমরা কঠোর নির্দেশনা পেয়েছি।”
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, “নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যেন কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেই লক্ষ্যেই সংশ্লিষ্ট সব থানার ওসিদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারও দায়িত্বে গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না।”