মে ২৬, ২০২৫

সোমবার ২৬ মে, ২০২৫

কুমিল্লায় জাল খতিয়ান দাখিল: আদালতে বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া খতিয়ান আদালতে দাখিল করার অভিযোগে কুমিল্লার চান্দিনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মো. সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার (২৪ মে) বিচারক শেখ সাদী রহমান এই আদেশ দেন। আদালতের এই নির্দেশ বিচারিক প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের জিন্নতের নেছা ২০ জনকে বিবাদী করে একটি স্বত্ব ঘোষণার মামলা (দেওয়ানি ৮৪/২০২১) দায়ের করেন। এই মামলার ২নং বিবাদী সফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য প্রদানের সময় আর এস ১৮৫নং খতিয়ানের একটি জাল সহিমোহরী নকল আদালতে উপস্থাপন করেন। বাদীপক্ষ খতিয়ানের সত্যতা নিয়ে আপত্তি জানালে আদালত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক আবদুল মান্নানকে খতিয়ানের ভলিউম উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। আবদুল মান্নান আদালতকে জানান, বিতর্কিত খতিয়ানের পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর কোনো সহিমোহরী নকল সরবরাহ করা হয় না।

আদালত এরপর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওই আরএস ১৮৫নং খতিয়ানের কথিত সহিমোহরী নকলে লেখক ও যাচাইকারীর স্বাক্ষরের সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন তলব করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় লিখিতভাবে আদালতকে জানায় যে, ওই খতিয়ানের সহিমোহরী নকল জেলা রেকর্ড রুম শাখা থেকে দেওয়া হয়নি। এতে সফিকুল ইসলামের দাখিলকৃত খতিয়ানটি জাল প্রমাণিত হয়।

২৪ মে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন এবং বাদীপক্ষে আংশিক ডিক্রি প্রদান করেন। রায়ের একটি অংশে ২নং বিবাদী সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, “এ ঘটনায় বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা কর্তৃক আরও বিস্তারিত তদন্ত হওয়া আবশ্যক। সুষ্ঠু তদন্ত করে সব দায়ী ব্যক্তির চিহ্নিত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হ্রাস পাবে বলে এই আদালত মনে করে।”

আরও পড়ুন