নভেম্বর ২৮, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লা থেকেই শত কোটি হাতিয়ে নিল এমটিএফই

MTFE stole hundreds of crores from Comilla
কুমিল্লা থেকেই শত কোটি হাতিয়ে নিল এমটিএফই। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বন্ধ হয়েছে এমএলএম প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই)। এতে কুমিল্লা থেকেই শত কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা এ সংস্থাটি।

দুবাইভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম পঞ্জি মডেলে ব্যবসা করতো। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী ছিল। তবে এই ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের বলে অভিমত সাইবার বিশ্লেষকদের। সূত্র: ইত্তেফাক

কাউকে বিনিয়োগ করাতে পারলে পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের কমিশন। তবে হায়, একি! যে কোম্পানিকে ঘিরে এত স্বপ্ন তার প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালকদের দেখেনি কেউ। এমনকি কোম্পানিটির নেই কোনো কার্যকর ওয়েবসাইটও।

শুধু শুনে শুনে সেই কোম্পানিকে বিশ্বাস করেই প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ করেছেন প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক।

এদিকে সমস্যা শুরু হয়েছিল দুই সপ্তাহ আগে তথাকথিত সিস্টেম আপগ্রেডের মাধ্যমে। এরপর থেকে ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি থেকে কোনো টাকা তুলতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে প্রায় সব ব্যবহারকারীর ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্ট ঋণাত্মক দেখানো শুরু করে অ্যাপটি। গ্রাহকদের পক্ষে স্বয়ংক্রিয় লেনদেনের পর বিপুল লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছে অনিয়ন্ত্রিত এ সংস্থাটি।

কুমিল্লার প্রতারিত এমটিএফই ব্যবহারকারী শারমিন বলেন, ‘আমি এখন নিশ্চিত, এমটিএফই ভুয়া ছিল। গত দুই মাস আগে ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। ৯৯ হাজার টাকা হয়েছিল কিন্তু আরও লাভের আসায় সবই হারালাম।’

কুমিল্লার প্রতারিত আরেক এমটিএফই ব্যবহারকারী কলেজ শিক্ষক বলেন, আমার তো সব গেলো। আনুমানিক ২৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। আমার সব চলে গেছে।

এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা থেকেই শুধু মোট কতজন এ স্কিমের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তার কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই। তবে গ্রাহকদের বিভিন্ন দলের নেতারা অনুমান করছেন, এ সংখ্যা হাজার হতে পারে। তাদের ধারণা, এ স্ক্যামে প্রায় শত কোটি টাকা খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) দাবি করেছিল, তারা কানাডায় নিবন্ধিত সংস্থা। এর কার্যক্রম বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও ভারতেও ছড়িয়েছিল। সব দেশের ব্যবহারকারীদের ভাগ্যেও একই পরিণতি হয়েছে।