
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলে গেছেন,৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সৌন্দর্য করে দাঁড় করাতে হলে ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটি মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ হইবে।
গ্রামের প্রতিটি মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে প্রতিটি গ্রাম আলোকিত হইবে। আলোকিত মানুষের সমন্বয়ে আলোকিত গ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব। আলোকিত গ্রামের সমন্বয়ে আলোকিত বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব।
গ্রামগুলো শহরের মতো উজ্জ্বল নয়। কিন্তু গ্রামে আছে অবারিত সবুজ মাঠ, মাঠে মাঠে ধানের চারা, সবজির ক্ষেত। শহরের লোকজন গ্রামে গেলে ভিন দেশি মনে করে কত আদর-আপ্যায়ন করে। নারকেল গাছ থেকে ডাব পেড়ে
সতেজ পানি খেতে দেবে। একটা কথা কী? ওরা খুব অল্পতে খুশি হয়ে যায় । লুকিয়ে রাখা মার্বেল দেখানোর সময় যদি বলা হয়—আমিও খেলব, তাহলে দেখা যাবে, খুশিতে আত্মহারা হয়ে গায়ের ওপর এসে পড়বে। ওদেরকে ‘গ্রাম্য খ্যাত’ মনে হবে।
তবে ওরা ‘গ্রাম্য ‘খ্যাত’ থাকলে পুরা দেশটাই ‘গ্রাম্য খ্যাত’ হয়ে যায়। কারণ ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এজন্যই গ্রামের খ্যাত নামক যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষগুলি রয়েছে তাদেরকে সুশিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আলোকিত গ্রাম গড়া সম্ভব।
দেশটাকে এগিয়ে নিতে হলে গ্রামগুলোকে আলোকিত করতে হবে। চাঙ্গা করতে হবে গ্রামের অর্থনীতি। শিক্ষায় স্বাস্থ্যে যোগাযোগে পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। তাহলে আমরা সবাই ভালো থাকব।
ওসমান গনি
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট