চলতি ডিসেম্বর মাসেই ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও শূন্যপদ না থাকায় নন-ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকতে হয় অনেক প্রার্থীকে। ফলে হতাশায় ভোগেন অপেক্ষায় থাকা এসব প্রার্থী। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এবার নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
পিএসসির একাধিক সূত্রে জানা যায়, চলতি ডিসেম্বরেই ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে। গত ২১ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার পদে সুপারিশের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে নন-ক্যাডারের পদে পছন্দক্রম নেয়া হবে। সব কাজ শেষ করে চলতি মাসেই ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে পিএসসির একজন পরিচালক বলেন, ৪৩তম বিসিএস নিয়ে কয়েকটি সভা হয়েছে। সেখানে আলোচনায় উঠে এসেছে, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার একসঙ্গে ফল প্রকাশ করা হবে। ক্যাডার পদে সুপারিশের পর নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে অনেক সময় লেগে যায়। অথচ একই বিসিএস দিয়ে আরেকজন অনেক আগেই চাকরিতে যোগদান করে ফেলেন। নন-ক্যাডারে যারা নিয়োগ পান, তাদের কর্মজীবন দেরিতে শুরু হয়। এটা তো স্পষ্টই বৈষম্য। এ কারণে একসঙ্গে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হবে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের নিয়োগ সুপারিশ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর। পিএসসি লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে ২০২২ সালের জুলাইয়ে। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেয়া হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ করা হবে।