চলতি মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সীমান্তে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেটির নাম ঠিক করা আছে ‘মোখা’।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। ৮ থেকে ৯ মে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ১২ অথবা ১৩ তারিখে লঘুচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে।
সেই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘মোখা’। এটি একটি আরবি শব্দ। মোচা নামটি ইয়েমেনের দেয়া।
বাংলাদেশে ১৪ মে রাতে এটি আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে বিরত থাকতে, উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের ঝড়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে রাখাইন, চট্টগ্রাম, বরিশাল বা পশ্চিমবঙ্গের উড়িষ্যা উপকূলে। যার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কি.মি.।
জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, নোয়াখালী ও চাঁদপুরের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশের স্থলভাগ দিয়ে অতিক্রম করবে। ১৪ মে দুপুরের পর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা আছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি পরিচালক আহমাদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির জন্য আমাদের ৭৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছে। এরই মধ্যে তারা মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছে। ঝড়ের সময় সবার আশ্রয়কেন্দ্রে আসার প্রয়োজন নেই। অনেকে আছেন নিজের বাড়িতেই যথেষ্ট নিরাপদ। যারা যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবে তাদের তালিকা আগে থেকেই তৈরি করা হয়।
এদিকে, কৃষি আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে- মে মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ৩ দশমিক ০ থেকে ৫ দশমিক ০ মিলিমিটার এবং গড় সূর্য কিরণকাল ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৫০ ঘণ্টা থাকতে পারে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC