ফেসবুক স্ট্যাটাসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে নিয়ে কটুক্তি করায় ইন্দ্রজিৎ সাহা নামের এক যুবক কে গণপিটুনি দিয়ে চান্দিনা থানা সোপর্দ করা হয়েছে। ইন্দ্রজিৎ সাহা কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা গ্রামে রামকৃষ্ণ সাহার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকা থেকে তাকে আটকের পর সেখানে মারধর করে চান্দিনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে চান্দিনা উপজেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা।
এ ঘটনায় থানায় চান্দিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক মেহেদী হাসান সিয়াম বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ১৯ মে এমডি. সিহাব (Md Sihab) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে সনাতন ধর্মের দেবতার ছবি যুক্ত একটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার রিলস্ ভিডিও পোস্ট করা হয়। ওই রিলস্ ভিডিওর কমেন্টস বক্সে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কমেন্টস করেছে।
ওই রিলস ভিডিওতে সিভা সাহা (Shiva Saha) নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে ছবি সম্বলিত লেখা কমেন্টস করা হয়। শিবা সাহার ওই কমেন্টস স্থানীয় মুসল্লীদের নজরে আসলে ফেসবুকে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
শিবা সাহার বিচার দাবী করে ফেসবুকে নানা রকম পোস্ট করতেও দেখা যায়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে চান্দিনার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা শিবা সাহার আইডি খুজে ইন্দ্রজিত সাহার দেবিদ্ববারের রকামতা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাকে খোঁজ করে। সেখানে তাকে না পেয়ে মহাসড়কের গোবিন্দপুর এলাকায় তাকে আটক করে মারধর করে পুলিশে দেয়।
ছাত্রনেতা তন্ময় ইসলাম হিমেল জানান, প্রথম দিকে আমরা কিছু টের পাইনি। কিছুদিন পর জানতে পারলাম সে ফেসবুকে মহানবী (সাঃ) এর নামে কটুক্তি করেছে তাই এ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা কয়েকজন তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ এর বাড়ি গিয়ে তার পরিবারের লোকজনদের জানাই।
পরবর্তীতে জানতে পারি আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে গোবিন্দপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইন্দ্রজিৎ কে আটক করে চান্দিনা থানায় নিয়ে যাই।
বিষয়টি নিশ্চত করে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, অন্যের ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে শিবা সাহা (Shiva Saha) আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও নবীকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ লেখা ছড়িয়ে দেয় ইন্দ্রজিৎ নামে ওই যুবক।
ছবি ও লেখাগুলো স্থানীয় মুসল্লিদের নজরে আসলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ইসলাম ধর্ম এবং নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) নিয়ে কটুক্তি করায় ইন্দ্রজিৎ এর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিষয়টি ছাত্র নেতাদের নজরে আসলে তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে কয়েকজন ছাত্র নেতা। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
