স্মার্ট গ্রাম বিনির্মাণে বার্ডের ভূমিকা নিয়ে দুই দিনব্যাপী একটি কর্মশালা বার্ডের লালমাই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ.এফ.এম. আবদুল মঈন, পিএইচডি।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের গ্রামসমূহে আধুনিক সেবা নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক বিষয় স্মার্ট করে তুলতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বার্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আবদুল করিম। তিনি স্মার্ট গ্রাম বিনির্মাণে বার্ডের করণীয় উপস্থাপন করেন। বার্ডের মহাপরিচালক জনাব সুব্রত কুমার সিকদার ভার্চুয়াল মাধ্যমে কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় “স্মার্ট গ্রাম, স্মার্ট বাংলাদেশ” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক জনাব মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ে তোলার রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আরও চারটি বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
- স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক: গ্রামীণ দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরীর সম্ভাব্য ক্ষেত্রসমূহ
- স্মার্ট গ্রামীণ স্মার্ট অর্থনীতি: উৎপাদন ও বিবেচ্য বিষয়সমূহ
- স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট সমাজ: গ্রামীণ স্মার্ট সমাজের বিবেচ্য বিষয়
- স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট স্থানীয় সরকার: স্মার্ট গ্রামীণ স্থানীয় সরকার গঠনে অগ্রধিকারযুক্ত বিষয়
কর্মশালার মাধ্যমে স্মার্ট গ্রাম বিনির্মাণে বার্ডের প্রায়োগিক গবেষণা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের বিবেচ্য ক্ষেত্র ও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
উক্ত কর্মশালাটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন ফৌজিয়া নাসরিন সুলতানা, যুগ্মপরিচালক, বার্ড। সহযোগি কর্মশালা পরিচালক ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন রাখি নন্দী, উপপরিচালক, বার্ড।
কর্মশালায় বার্ড অুনষদ সদস্যসহ সমধর্মী প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।