এপ্রিল ১১, ২০২৫

শুক্রবার ১১ এপ্রিল, ২০২৫

স্মার্টফোন ছেড়ে ডাম্বফোনে ফিরছে প্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোর-কিশোরীরা!

Button Phone
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং অতিরিক্ত তথ্যের ভয় থেকে দূরে থাকতে প্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোন ছেড়ে ডাম্বফোনে ফিরছেন। যুক্তরাজ্যের অফকমের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী প্রায় এক চতুর্থাংশ শিশুরও এখন নিজস্ব স্মার্টফোন রয়েছে।

ফোমো; বর্তমানে এই শব্দটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। এর অর্থ হারিয়ে যাওয়ার ভয়। এটি এমন একটি ভাবনা যখন কেউ মনে করতে শুরু করে যে, তাকে বাদ দিয়ে বাকি সকলে আনন্দ, উল্লাস করছে এবং সুখে আছে। আর এই ফোমো শুধু বড়দেরই নয় বরং বাচ্চাদেরও হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিক সময় ব্যয় তাদের মধ্যে ফোমো-র ভয় বাড়াচ্ছে।

এছাড়া স্মার্টফোনে সারাদিন ক্রমাগত বিভিন্ন তথ্য স্ক্রিনে ভেসে উঠতে থাকে। আর এই বিপুল পরিমাণ তথ্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। আর এই কারণেই নিজের স্মার্টফোন বাদ দিয়ে ডাম্বফোন কেনার দিকে ঝুঁকছেন তারা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মানুষ বোকা, অসামাজিক ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ক্রমাগত নোটিফিকেশন, আপডেটের মাধ্যমে স্মার্টফোন আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে স্মার্টফোন।

ফলে দিনের শেষে ক্লান্তি নেমে আসে। একই ডিভাইস থেকে একদিকে যেমন সারাদিন বিনোদন চলছে, অন্যদিকে খবরের উৎস, জিপিএস নেভিগেশন, পেমেন্ট সহ দিনের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে স্মার্টফোন।

স্মার্টফোনে সারাদিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম স্ক্রোল করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি কেউই। এই কারণেই ক্রমাগত এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে যেতে ঘুরতে থাকেন। বিজ্ঞানীদের মতে এই কারণে মানুষের মনঃসংযোগ কমেছে অনেকটাই।

আর এসব কারণেই এখন অনেকেই দামি স্মার্টফোন ছেড়ে পুরনো টু-জি প্রজন্মের বাটন ফোনে ফিরে যাচ্ছেন। এই ফোনগুলিকেই ডাম্বফোন বলছে নতুন প্রজন্ম।