স্বর্ণ বা সোনা, মহামূল্যবান ধাতু যা কেবল নারীর কাছেই নয়, মানুষের কাছেও চিরকাল আকর্ষণীয়। অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য, চকচকে বর্ণ এবং বিনিময়ের সহজ মাধ্যম হওয়ার কারণে সোনার গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে, সোনার দামের ওঠানামা এবং জালিয়াতির কারণে প্রায়ই আমরা প্রতারণার শিকার হই।
চলুন জেনে নেই খাঁটি স্বর্ণ বা সোনা চেনার কিছু সহজ উপায়:
হলমার্ক:
- সোনা কেনার আগে সর্বোপরি হলমার্ক আছে কিনা তা দেখে নিন।
- হলমার্ক চিহ্ন সাধারণত গয়নার ভেতরের অংশে থাকে।
- নাম্বার যত উপরের দিকে থাকবে, মানের দিক থেকে সোনার মান তত ভালো।
নাইট্রিক অ্যাসিড পরীক্ষা:
- নাইট্রিক অ্যাসিড অন্য সব ধাতুর সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করলেও সোনার সাথে করে না।
- সোনার কয়েন থেকে ঘষে তার ওপর ড্রপারে নাইট্রিক অ্যাসিড ফোঁটা ফোঁটা করে ফেলুন।
- সোনা খাঁটি হলে রং পরিবর্তন হবে না।
পানিতে পরীক্ষা:
- বড় আকৃতির একটি গামলায় দুই গ্লাস পানি দিন।
- সোনার গহনা পানিতে ছেড়ে দিন।
- ভাসলে সোনা নকল। কারণ খাঁটি সোনা পানিতে তাড়াতাড়ি ডুবে যায়।
চুম্বক পরীক্ষা:
- শক্তিশালী চুম্বকের সাহায্য নিন।
- এক হাতে সোনার গহনা নিন, অন্য হাতে চুম্বক।
- গহনার সাথে স্পর্শ করান।
- যদি গহনা চুম্বক আকর্ষণ করে, বুঝতে হবে সোনা আসল নয়। কারণ খাঁটি সোনা কখনোই চুম্বক আকর্ষণ করে না।
সিরামিক প্লেট পরীক্ষা:
- একটা সিরামিকের প্লেট নিন।
- গয়না প্লেটের সাথে আস্তে আস্তে ঘষুন।
- যদি দেখা যায়, প্লেটে কালচে দাগ পড়েছে বুঝতে হবে সোনা খাঁটি নয়। কারণ খাঁটি সোনা দিয়ে ঘসলে দাগ পড়বে না।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো ছাড়াও আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন:
- বিশ্বস্ত দোকান থেকে সোনা কিনুন।
- রিসিট সংরক্ষণ করুন।
- প্রয়োজনে সোনার গুণমান পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।