
সিরাজগঞ্জে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) সফলভাবে আয়োজন করেছে ডিজিটাল ঝুঁকি বিষয়ে সচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘আলোর পথের যাত্রী’ শীর্ষক নাটক।
আজ বুধবার (২৯ মে) সিরাজগঞ্জ পৌর ভাষানী মিলনায়তনে এই নাটকের মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত “ডিজিটাল ঝুঁকি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রচারমাধ্যম কর্মী, ছাত্রী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়ন” প্রকল্পের আওতায় এ নাটকটি আয়োজন করা হয়। সিরাজগঞ্জ জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় এনজিও পার্টনার হিসেবে কাজ করছে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে, যেখানে সিরাজগঞ্জের উদীয়মান গায়ক-গায়িকা ও নৃত্যশিল্পীরা গান ও নৃত্য উপস্থাপন করেন। তাঁদের শিল্পময় পরিবেশনা দর্শকদের মোহিত করে তোলে এবং শুরু থেকেই অনুষ্ঠানে প্রাণচাঞ্চল্য ও উদ্দীপনা যোগায়।
অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পেশার নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন, যাদের সক্রিয় ও আগ্রহভাজন উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, গৃহিণী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নাটকটি উপভোগ করেন। তাদের অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হবে।
উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী, উপপরিচালক, জেলা তথ্য অফিস, সিরাজগঞ্জ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড)-এর কর্মকর্তারা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এবং প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
নাটকের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পারেন, কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা সংঘটিত হয় এবং কিভাবে এসব পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করা যায়। তারা আরও জানতে পারেন, জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এবং নারী ও শিশুর সহিংসতার ঘটনায় ১০৯ নম্বরে কল করে দ্রুত সহায়তা পাওয়া সম্ভব। এই তথ্যগুলো তাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে বলে তারা জানান।
এই আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল একটি শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকর অভিজ্ঞতা, যা তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করে এবং নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ গঠনে অনুপ্রেরণা জোগায়।
সাকমিড আগামী এক বছরে কুমিল্লা, খুলনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের আওতায় নারী ও তরুণীদের ডিজিটাল ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করবে সাকমিড।