আজকাল অনেকেই সামাজিক ভীতি বা সোশ্যাল অ্যাংজাইটিতে ভুগছেন। এই সমস্যা শুধু সাময়িক অস্বস্তিই নয়, দীর্ঘমেয়াদে এটি ব্যক্তিত্বের গুরুতর জটিলতা বা পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে রূপ নিতে পারে। কিন্তু কেন হয় এই ভীতি? এর লক্ষণগুলোই বা কী? আর কীভাবে এর থেকে মুক্তি মিলবে?
সোশ্যাল অ্যাংজাইটিতে ভোগা ব্যক্তিরা প্রায়শই যে কোনো সামাজিক পরিস্থিতিতে এক ধরণের অযৌক্তিক ভয় অনুভব করেন। তাদের মনে হতে থাকে, কেউ হয়তো তাদের পছন্দ করছে না, বা তাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। এই ভীতি এতটাই তীব্র হতে পারে যে, এটি দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কাজকর্মেও বাধা সৃষ্টি করে।
কখন এই ভীতি প্রকাশ পায়?
বিশেষ করে যে কাজগুলোতে অন্যের সামনে নিজেদেরকে তুলে ধরতে হয় বা মূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ থাকে, সেখানেই অ্যাংজাইটির জন্ম হয়। যেমন:
এই ধরণের পরিস্থিতিতে মানুষ তীব্র অস্বস্তি এবং ভয় অনুভব করে।
সোশ্যাল অ্যাংজাইটির প্রভাবে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। ডা. মেখলা সরকার, একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, একটি পডকাস্টে বলেছেন, "সোশ্যাল অ্যাংজাইটি দেখা দিলে ব্যক্তির মনে হয়, আমাকে আরেকজন খুব নেতিবাচকভাবে দেখছে। আমাকে বোধহয় খুব অকোয়াড লাগছে।" এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তির পারফরম্যান্স সত্যিই খারাপ হয়ে যায়।
লক্ষণগুলো কী কী?
এই সমস্যা মানুষের সামাজিক সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেয় এবং জীবনের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
কিছু কারণ আছে যা সোশ্যাল অ্যাংজাইটির ঝুঁকি বাড়ায়:
সোশ্যাল অ্যাংজাইটি একটি চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা। এর থেকে মুক্তি পেতে সাইকোথেরাপির অংশ হিসেবে কিছু বিহেভিওরাল থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC