
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় জমে উঠেছে গরু ও মহিষের হাট। ঈদে এখনও দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও খামারিরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বর্তমানে ১,২৭৫ জন খামারির খামারে গরু-মহিষের সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার ৬৭৩টি। ঈদকে ঘিরে এত বড় প্রস্তুতি থাকলেও বিক্রি আশানুরূপ না হওয়ায় খামারিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা।
অনেক খামারির অভিযোগ, দেশীয় খামারিদের কষ্টার্জিত পশু বিক্রি নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। তারা মনে করছেন, যদি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে গরু আমদানি না হয়, তাহলে কিছুটা লাভের আশা করা যায়। অন্যথায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ যৌথভাবে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পরিবহনের বিষয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি স্টেরয়েড ও হরমোনমুক্ত পশু প্রস্তুতের লক্ষ্যে খামারিদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনছুর আহমেদ জানান, “এ বছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরাইলে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। আমরা নিয়মিত খামারগুলো পরিদর্শন করছি এবং খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছি।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারি ইজারাকৃত হাটগুলোতে মোবাইল ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক তদারকি করবে। ক্রেতারা যেন সুস্থ ও মানসম্পন্ন পশু কিনতে পারেন, সে লক্ষ্যে টিম ক্রেতাদের সহায়তা করবে।”