
রমজানের রোজা শেষে এলো খুশির ঈদ কাজী নজরুল ইসলামের সেই ওমর সংগীতের বাস্তবায়ন ঘটতে চলছে দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর, রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ এ কথাটা শুধু একমাত্র তাদের জন্য, আল্লাহ হুকুম মেনে ৩০ টি রোজা ও আমল এবাদত ঠিকমতো করতে পারছে তাদের জন্যই অত্যন্ত খুশি ও আনন্দের।
এটা ইসলামী ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ইসলামে বলা হয়েছে। যারা দীর্ঘ এক মাস আল্লাহর হুকুম মোতাবেক রোজা রাখছো ও নামাজ পড়ছে খারাপ কাজ হতে বিরত থাকছে তাদের জন্যই এটা সবচেয়ে বড় আনন্দের। রমজানের বরকত লাভের জন্য ত্যাগ, কষ্ট-ক্লেশ ও আয়াস সাধ্য-সাধনার পর বহুল প্রতীক্ষিত ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ ও সুখ-সমৃদ্ধি। ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহকে সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য এবং ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষা দেয়।
এ আনন্দের দিনে প্রতিটি মুসলিম তার সামাজিক অবস্থান ভুলে যায় এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করে। ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সবল-দুর্বল, বংশগৌরব, কৌলীন্য ও মান-মর্যাদার প্রশ্নে কোনো ফারাক থাকে না। ঈদগাহে সারিবদ্ধভাবে জামাতের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষেই ইসলামের আলোকে সাম্যের অতুলনীয় বাস্তব দৃশ্যের চিত্র ফুটে ওঠে। বর্তমান ঈদকে কেবল ধর্মীয় কিংবা সামাজিক উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
বরং ঈদ আজ সার্বজনীন আনন্দের নাম।

সামাজিক উৎসবগুলোয় আমরা যেমন আনন্দে মাতি, তেমনি প্রত্যেক ধর্মেই রয়েছে বিশেষ কিছু উৎসবমুখর দিন। সে উৎসবগুলোও আমাদের আনন্দে ভাসায়। প্রতিটি উৎসব আমাদের একতা, ঐক্য, বড় ও মহৎ হতে শেখায়। ঈদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো- ঈদ সমাজের দরিদ্র শ্রেণির প্রতি অবস্থাসম্পন্ন মানুষের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।
ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করতে গিয়ে ধনী-গরিব সবাই মিলে এক কাতারে শামিল হয়। অন্যান্য ধর্মের মানুষেরাও ঈদের আনন্দে শামিল হন। ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হন এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করেন।