জিনগত পরিবর্তন করা শূকরের কিডনি সফলভাবে একজন জীবিত রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করেছেন চিকিৎসকরা। আর এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালে। এমনটাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডয়েচে ভেলে।
জানা যায়, ৬২ বছর বয়সি এক রোগীর দেহে চার ঘণ্টা ধরে ওই কিডনি লাগানো হয়। ওই ব্যক্তির কিডনির অসুখ একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিল। ওই ব্যাক্তির নাম স্লেম্যান।
হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শূকরের কিডনি মানুষের দেহে স্থাপন করার আগে তার জিনগত পরিবর্তন করা হয়েছিল। শূকরের ক্ষতিকর জিন সরিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং মানুষের জিন যোগ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে হাসপাতালের দাবি, এটা একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিল। অর্গান ট্রান্সপ্লানটেশন বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে। একটি প্রাণীর অঙ্গ অন্য প্রজাতির প্রাণীর দেহে প্রতিস্থাপনের নাম হলো জিনোট্রান্সপ্লানটেশন।
এ বিষয়ে স্লেম্যান জানিয়েছেন, তিনি জেনেশুনেই এই শূকরের কিডনি তার দেহে স্থাপনের অনুমতি দিয়েছিলেন। কারণ, এর ফলে তার বাঁচার সুযোগ বেড়ে গেল, আর হাজার হাজার মানুষ, যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন জরুরি, তারাও এর ফলে উপকৃত হবেন।
গোটা বিশ্বজুড়ে প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পাওয়া যায়। বস্টনের এই হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের হাসপাতালে এক হাজার চারশ জন রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
এই সাফল্য লাখ লাখ রোগীকে আশার আলো দেখাতে পারে। অপারেশন টিমের সদস্য চিকিৎসক তাতসুয়ো কাওয়াই বলেছেন, 'আমাদের আশা এই সফল অপারেশন বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে আশাবাদী করবে।'
এ বিষয়ে হাসপাতালের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে শূকরের দেহ থেকে কিডনি নেওয়া হয়েছে, তাকে আলাদা করে বড় করা হয়েছিল, যাতে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের ইনফেকশন না লাগে। এই শূকরের কিডনির সাইজ মানুষের কিডনির মতোই ছিল।
এর আগে কিছু রোগী যাদের ব্রেন ডেড হয়ে গেছে, শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো জীবীত রোগীর শরীরে সফলভাবে শূকরের কিডনি এই প্রথমবার সাফল্যের সঙ্গে প্রতিস্থাপন করা হলো।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC