কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) লিও ক্লাবের ৫ম ইন্সটলেশন ও লিও-লায়ন্স লিডারশিপ ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে লিও ক্লাব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ এর নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। পরে পুরষ্কার বিতরণ ও কালচারাল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর ডিস্ট্রিক্ট 352A1‚ বাংলাদেশ এর অনুষ্ঠানটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানটি লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা কিংস এর সৌজন্যে আয়োজিত হয়। এ সময় লিও ক্লাবের এ্যাডভাইজর আযহার মাহমুদ ও জাকারিয়াসহ বিশিষ্ট লায়ন সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিও ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট‚ তরিকুল ইসলাম মুইন বলেন, আমি ৪ বছর ধরে লিও ক্লাবের সাথে আছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে লিও ক্লাব কুবির অবস্থা একটু নরবরে ছিলো। কেয়া আপু আসার পরে ক্লাবের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমার ইচ্ছা আছে কেয়া আপু যে সার্ভিস প্রোগ্রামগুলো করেছে আমি তার চেয়ে বেশি সার্ভিস প্রোগ্রাম করে দেখাবো। এছাড়া স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম ও আমাদের একটা নতুন স্কুলিং প্রোগ্রাম হচ্ছে, যাতে আমরা ক্যাম্পাসে ক্লাস নিবো। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমার নামের সামনে যে লিও আছে সেটা যাতে আমি লায়নে কনভার্ট করতে পারি।
সাবেক সভাপতি শারমিন আক্তার কেয়া বলেন‚ লিও ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির নতুন সদস্যরা জয়েন করেছেন বেশি দিন হয়নি। দুই থেকে তিন মাস সময় এবং এর মধ্যেই আমরা চারটি সার্ভিস প্রোগ্রাম আয়োজন করতে পেরেছি। আমার জন্য আজকের দিনেই এই ক্লোজ-আপ প্রোগ্রামটি অনেক বড় একটা প্রাপ্তি এই জন্য যে, আমার হাতে যখন এই ক্লাবের দায়িত্ব আসে তখন এই ক্লাব মৃতপ্রায় ছিলো। সেই জায়গা থেকে আমার সামনে আজ প্রায় অর্ধশত লিও বসে আছেন যারা নতুন জয়েন করেছেন এবং তাদের নিয়ে এতো বড় একটা প্রোগ্রাম অ্যারেঞ্জ করতে পেরেছি এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। আপনাদের সকলের সহযোগিতা ছাড়া এটা কখনোই সম্ভব ছিলো না।
উল্লেখ্য‚ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর যুব সংগঠন লিও ক্লাব ১৯৫৭ সালে জিম গবার এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। যার মূলমন্ত্র হলো নেতৃত্ব, দক্ষতা, সুযোগ। জিম‚ জেলেন সাইড লায়ন্স ক্লাবের সক্রিয় ছিলেন। তারা সমাজে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, দারিদ্র বিমোচন, আত্ম উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে।