
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। ফেসবুকে প্রায় দুই মিনিটের একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন খ্যাতিমান অভিনেতা মিশা সওদাগর। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য। ভিডিওটিতে মারধরের শিকার ব্যক্তি মিশা সওদাগর নন, বরং তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, হালকা আকাশী রঙের জামা পরা এক ব্যক্তিকে মারধর করছে একদল যুবক। জয়তূর্য চৌধুরী নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বুধবার (১৪ মে) সকালে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এই ঘটনার আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। পোস্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯টার দিকে, সিলেট শহরের মদনমোহন কলেজ সংলগ্ন রিকাবীবাজার এলাকায়।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে উঠে আসে, ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে মারধর করা হচ্ছে, তিনি নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা।
একই তথ্য পাওয়া গেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও। সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নির্মলেন্দু দাশ রানা রিকাবীবাজার এলাকার ফাতেমা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে, একদল ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে মারধর করে এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মারধরের ফলে নির্মলেন্দুর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লাগে এবং তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মিশা সওদাগরের সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং সেখানে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ফলে, ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে ছড়ানো তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা। হালকা আকাশী জামা পরা যে ব্যক্তিকে মিশা সওদাগর বলে দাবি করা হচ্ছে, তিনি মূলত ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা।
ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।