কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে এমন অভিযোগে হঠাৎ মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বেরোবি ক্যাম্পাস। এসময় ছাত্রলীগ ও কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে৷
এর আগে রাত ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সর্দার পাড়া, পার্ক মোড়, চকবাজার ও লালবাগ থেকে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ মিছিল যোগ দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সর্দারপাড়া থেকে বের করা মিছিলটি পার্ক মোড়, খামারমোড়, চকবাজার ঘুরে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে নগরীর প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড় হয়ে দর্শনা, লালবাগ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এসময় প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এই বিক্ষোভ মিছিলে ছিলেন।
এইদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নারী শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙ্গে এই বিক্ষোভ মিছিলে যুক্ত হয়।
এসময় আন্দোলকারীরা আমি কে? তুমি কে? রাজাকার রাজাকার, চেয়ে ছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা যায়, ক্যাম্পাসে ফিরে এসে ছাত্রলীগকে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিলে ছাত্রলীগ ক্ষেপে যায়। এইদিকে আগে থেকে ছাত্রলীগে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ের দুই গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এই উত্তেজনা প্রায় এক ঘন্টার মত থাকে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। পরে তাদের দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। উত্তেজনা চরমে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা পুলিশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই ব্যাপারে ছাত্রলীগ বলছে,দুর্বৃত্তরা আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। আন্দোলনকারীরা বহিরাগত ক্যাম্পাস এনে পরিবেশ অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।
কোটা আন্দোলনকারীরা বলছে,আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করতে ছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের কয়েকজনকে রক্তাক্ত করেছেন। আমরা এই হামলার বিচার চাই।
এই সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্ত আছে। কোন অপীতিকার ঘটনা ঘটেনি।