
সাধারণত শীতকালে দেখা মেলে ঘন কুয়াশার, কিন্তু শ্রাবণের সকালে পঞ্চগড়ে এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নেমে আসে ঘন কুয়াশা, যা দেখে বিস্মিত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বয়স্কদের মতে, গত ৫০ বছরেও এমন দিনে কুয়াশার দেখা মেলেনি। অনেকে এটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হিসেবে দেখছেন।
ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল পঞ্চগড়। যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। একদিকে ঘন কুয়াশা, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরম—এই দুই বিপরীতমুখী আবহাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের বেলায় ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে কুয়াশার কারণে ঘাস ও ফসলের ক্ষেতে শিশির বিন্দু জমে ছিল, যা শীতকালের আবহাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। পঞ্চগড়ের বাসিন্দারা এই অন্যরকম সকাল বেশ উপভোগ করেছেন। তবে সকাল আটটার পর সূর্য ঝলমলে রোদের দেখা দেয় এবং তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে, ফলে উত্তরবঙ্গের এই জেলায় গরম বেশ ভালোই অনুভূত হচ্ছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগড় গ্রামের বাসিন্দা নিশাত জানান, “প্রতিদিনের মতো সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি চারদিক কুয়াশায় ঢেকে গেছে। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে, অথচ ভ্যাপসা গরমও রয়েছে। বর্ষাকালে এমন কুয়াশা আগে চোখে পড়েনি।”
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান এই অস্বাভাবিক কুয়াশার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “রাতের তাপমাত্রা কমে গেছে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র জলকণা কুয়াশা হিসেবে দেখা দিয়েছে।”