
ক্লাস পরীক্ষা চলাকালীন সময় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) একাডেমিক ভবনের পাশে উচ্চস্বরে গান বাজনার ফলে ব্যহত হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। এইদিকে অধিকাংশ বিভাগের চলছে ফাইনাল পরীক্ষা।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা ও কয়েকটি বিভাগের ক্লাস চলাকালীন সময়ে উচ্চস্বরে গান বাজনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, একাডেমিক ভবন তিনের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ও লোক প্রশাসন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। এছাড়াও একাধিক বিভাগের চলছে মিড পরীক্ষা, কয়েকটি বিভাগের ক্লাস ও একই সময় চলছিলো। একই সময়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একটি ব্যাচের র্যাগ ডে উপলক্ষে ভবনটির সামনেই উচ্চস্বরে গান বাজনা করতে দেখা যায়। ক্লাস পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এমন উচ্চস্বরে গান বাজনা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পেইজে উচ্চস্বরে গান বাজনা নিয়ে পোস্ট করা হলে সেখানে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ ঝাড়েন।
আব্দুল্লাহ আল রিফাত নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, প্রশাসন চুড়ি পড়ে থাকে, শাড়ি কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
কাজী সিয়াম হোসাইন নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, আজ আমাদের ও মিড পরিক্ষা চলতেছিল তখন এসব আওয়াজ আসতেছিল।
মুনতাহা পারভিন তৃষা মন্তব্য করেন, এখন সব বিভাগেরই ফাইনাল পরীক্ষা চলতেছে। এমন আচরণ ঠিক নয়। যা করার বিকেল ৫ টার পর করা উচিত।
তাইবুল নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, পরীক্ষা দেবো,নাহ গান উপভোগ করবো কিছুই বুঝতেছিলাম নাহ ভাই, ওই সময়।
ক্লাস পরীক্ষা চলাকালীন ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবন গুলোর সামনে গান বাজনা করা নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো.তানজিউল ইসলাম (জীবন) বলেন, আমি বলে দিছি উচ্চস্বরে গান বাজনা না করতে আর যদি একান্ত গান বাজনা করতেই হয় তাহলে লো সাউন্ডে করতে হবে।
এই ব্যাপারে বহিরাঙ্গনের পরিচালক ড.মো.ফেরদৌস ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে উচ্চস্বরে গান বাজনা নিষেধ করা আছে। তারপরও উচ্চস্বরে গান বাজনা করে তারা। আমি একটি মিটিংয়ে ছিলাম। সাথে সাথে সহকারী প্রক্টর পাঠাই, বিভাগের চেয়ারম্যানকে জানাই। তারপরও তারা কথা শুনেনি। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হবে।