কুমিল্লার হোমনা উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামে বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় মরহুম সামছুল হক স্মৃতি প্রাথমিক বৃত্তি প্রতিযোগিতা ২০০৭-২০১১ এ বৃত্তি প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) উক্ত অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন ম্যানেজিং কমিটি।
পবিত্র কোরআন তেলওয়াত এবং পরবর্তী তে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদেকীন (শাওন), ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন আলহাজ্ব প্রকৌশলী মোঃ শাহ্ নোয়াজ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (অবঃ), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং প্রতিষ্ঠাতা বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম হোসাইনী, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং মোঃ শামীম আহমেদ, প্রভাষক, আইন বিভাগ, বাইউস্ট, কুমিল্লা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব এ কে এম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি, বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন ম্যানেজিং কমিটি, আলহাজ্ব হাছানুর রহমান মারুফ, সাধারণ সম্পাদক, রামচন্দ্রপুর বাজার বস্ত্র কল্যাণ সমিতি ও সহ-সভাপতি রামচন্দ্রপুর রামকান্ত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক, বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন ও সদস্য সচিব, বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন ম্যানেজিং কমিটি এবং মোহাম্মদ সামিউল হায়দার, নির্বাহী-প্রশাসন, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মোঃ নায়ীম আলীমুল হায়দার, সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আইন বিভাগ, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট), কুমিল্লা এবং সভাপতি, বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন ম্যানেজিং কমিটি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিয়াম আহম্মেদ।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন, ছিয়াম আহম্মেদ, মোঃ মোমেন মিয়া এবং নাহিদ শাহরিয়ার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি সকল কৃতি শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি এবং উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি আলহাজ্ব হাছানুর রহমান মারুফ তার বক্তব্যে কৃতি শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন শিক্ষার্থীরা যেন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেন।
মোঃ শামীম আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিক্ষার্থীদের তিনি লেখাপড়া এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অতিথি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হোসাইনী তার বক্তব্যে বলেন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে কৃতি শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি রাষ্ট্রের একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা এবং উক্ত অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি জনাব আলহাজ্ব প্রকৌশলী মোঃ শাহ্ নোয়াজ সাহেব বলেন, তিনি তার পিতার নামে মরহুম সামছুল হক স্মৃতি প্রাথমিক বৃত্তি প্রতিযোগিতা ২০০৭ সালে চালু করেন অত্র অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য। অত্র শিক্ষার উন্নয়নে তিনি তার মাতার নামে বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন চালু করেন ২০০৯ সালে।তিনি উক্ত বৃত্তি প্রতিযোগিতা পুনরায় চালু করার বিষয়ে এবং বেগম আছিয়া হক বিদ্যানিকেতন-কে উচ্চ শিক্ষার প্রসারে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মোঃ নাজমুস সাদেকীন (শাওন) তার বক্তব্যে কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।তিনি আয়োজকদের-কে উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ম্যানেজিং কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে শিক্ষার্থীদের কে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় দওক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। অত্র প্রতিষ্ঠানের যেকোনো প্রয়োজনে তিনি পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সবশেষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি, জনাব ড. মোঃ নায়ীম আলীমুল হায়দার উপস্থিত সকল কৃতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সভাপতির বক্তব্যের পর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় বিভিন্ন শ্রেণিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয় এবং নতুন শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়।