মে ২৪, ২০২৫

শনিবার ২৪ মে, ২০২৫

বিভিন্ন স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান

Students submit memorandum demanding assurance of various health facilities
ছবি: প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন কলা ভবনে মৌলিক অবকাঠামোগত সুবিধা প্রতিষ্ঠা ও নিশ্চিতের দাবিতে কলা মানবিকী অনুষদের ডিনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।

২১ শে মে (বুধবার), স্মারকলিপিটি অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ডিন অফিসে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: মোজাম্মেল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তিন দিনের স্বাক্ষর কার্যক্রমের পরে স্মারকলিপিটি জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ডিনের মাধ্যমে সেই স্মারকলিপির কপি উপাচার্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

জমা দেওয়ার সময়, অন্যান্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে কলা ও মানবিকী অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা নতুন কলা ভবন এবং এর আশেপাশের এলাকা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

তারা শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ দূর করতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সুপারিশ ও প্রস্তাব করেছেন। প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল: মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম স্থাপন, স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন, উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সুরক্ষিত গ্যারেজ সুবিধা ও সাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি এবং নামাজের জন্য আলাদা একটি জায়গার ব্যবস্থা করা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিগুলোর সাথে সংহতি প্রকাশ করি। তবে বাজেটের সীমাবদ্ধতা একটি বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে। যথাযথ প্রশাসনিক সহায়তায় এই বিষয়গুলো সমাধান করা যেতে পারে।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৫২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস যুথি বলেন, “আমরা নতুন কলা ভবনে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হই। স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের অনুপস্থিতি প্রায়শই অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে। পাশাপাশি প্রতিটি তলায় পৃথক ওয়াশরুমের অভাব শিক্ষার্থীদের হয় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে বা অন্য তলায় যেতে বাধ্য করে, যা তাদের জন্য সময়ের অপচয় ও এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে।”

ইংরেজি বিভাগের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান রাফি বলেন, “২৪ শে মার্চ, আমরা নতুন কলা ভবন, মুরাদ চত্ত্বর, এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস সংলগ্ন হ্রদটির সংস্কার সম্পর্কে সম্মানিত উপাচার্যের সাথে দেখা করেছিলাম। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ওয়াশরুমের সুবিধা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পার্কিং স্পেস এবং স্যানিটারি প্যাড মেশিন স্থাপনের মতো বিষয়গুলোতে সময়োপযোগী উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই সমাধানগুলো অর্জন করা যেতে পারে।”

আরও পড়ুন