সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিবাহ টিকিয়ে রাখার নতুন পন্থা ‘স্লিপ ডিভোর্স’!

Couples Sleep
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে, পারিবারিক বন্ধন টিকিয়ে রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। কর্মজীবী দম্পতিদের ক্ষেত্রে, ঘুমের অভাব এবং কাজের চাপের কারণে দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে। এরই অংশ হিসেবে বেড়েছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’।

সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে বন্ধন হলেও, দাম্পত্য অশান্তি ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’-এর দিকে ধাবিত করে। কিন্তু অনেকের জন্য বিবাহবিচ্ছেদ সহজ নয়। ফলে ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পথ বেছে নিচ্ছেন তারা।

স্লিপ ডিভোর্স কি?

স্লিপ ডিভোর্স বলতে বোঝায় স্বামী-স্ত্রীর একই ছাদের নীচে বসবাস করলেও একই বিছানায় না ঘুমানো।

স্লিপ ডিভোর্সের কারণ:

ব্যস্ত জীবনধারা: কর্মজীবী দম্পতিদের ক্ষেত্রে, ভিন্ন ভিন্ন রুটিন এবং ঘুমের সময়সূচী থাকা স্বাভাবিক। একসাথে ঘুমানোর চেষ্টা করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যা কর্মক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

কাজের চাপ: দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং মানসিক চাপের কারণে অনেকেই ঘুমাতে অসুবিধা অনুভব করেন। সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা না করে আলাদা ঘরে ঘুমানো অনেকের কাছেই সহজ মনে হয়।

দাম্পত্য অশান্তি: দাম্পত্য সম্পর্কে অশান্তি ও মনোমালিন্য থাকলে একসাথে ঘুমানো কঠিন হতে পারে। স্লিপ ডিভোর্স এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।

স্লিপ ডিভোর্সের প্রভাব:

মানসিক দূরত্ব: স্লিপ ডিভোর্স দীর্ঘমেয়াদে দম্পতিদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে।

শারীরিক দূরত্ব: একসাথে ঘুমানোর মাধ্যমে যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়, তা স্লিপ ডিভোর্সের কারণে অনুপস্থিত থাকে।

সন্তানদের উপর প্রভাব: স্লিপ ডিভোর্সের প্রভাব সন্তানদের উপরও পড়তে পারে।

স্লিপ ডিভোর্সের সমাধান:

বিকল্প প্রক্রিয়া: জীবনব্যাপী সমাধান না করে, বিকল্প হিসেবে ব্যবহার।

সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা: সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একসাথে ঘুমানো।

মানসিক দূরত্ব কমানো: পারিবারিক বন্ধন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বামী-স্ত্রীর একসাথে ঘুমানো।