বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখার বার্ষিক চড়ুইভাতি সম্পন্ন হয়েছে। সবার অংশগ্রহণে লেখক ফোরামে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। দুপুরে খাবার শেষে ফোরামের সদস্যরা কবিতা-গান-আড্ডায় এ আয়োজনকে আরও প্রাণবন্তকর করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপদেষ্টা পর্ষদ সদস্য—বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান রাহাত, গত কমিটির সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সমন্বয়ক সানজিদা ইয়াসমিন লিজাসহ ফোরামের ২০-২৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান কমিটির সম্পাদকীয় পর্ষদ সদস্য আছমা আক্তার বলেন—’আমাদের বাংলাদেশ তরুণ লেখক ফোরাম শুধু লেখালেখিই করে না, এখানে আমরা একটা পরিবার। আমাদের প্রত্যেকটা সদস্যের সাথে একে অপরের অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান। গতকাল চড়ুইভাতির আয়োজন ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্তকর। আমরা সবাই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার তৈরি করেছি ।
এতে আমাদের সুসম্পর্ক আরও সূদৃঢ় হয়েছে। একসাথে যে কোন কাজের মজাই অন্যরকম। বেশ সুন্দর ও প্রাণবন্তকর ছিল আমাদের চড়ুইভাতির আয়োজন । বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ফোরামের সদস্য ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। ফলে সবার সাথে সুন্দর ও সাবলীল একটা আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়। সর্বোপরি এক উৎসবমুখর দিন অতিবাহিত করেছি আমরা।’
অর্থ সম্পাদক মো. রিমেল বলেন—’চড়ুইভাতিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হয় তা আমার জানা নেই । তবে চড়ুইভাতি মানে আনন্দ, খুনসুটি , সবাই মিলে শৈশবে ফিরে যাওয়া , খাওয়া-দাওয়া আর একটি স্মৃতিময় দিন। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে চড়ুইভাতি ছিল আমার জীবনের একটি সেরা মুহূর্ত । সবাই মিলে একসাথে রান্না করা, খাওয়া-দাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবকিছুই ছিল অসাধারণ। পারস্পারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি , আনন্দ, একঘেমি দূর ও অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম থেকে কিছুটা প্রশাস্তি পেতে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখার এই চড়ুইভাতির আয়োজন ছিল অনবদ্য উদ্যোগ।’