বর্ষাকালকে বলা হয় বাঙালি জাতির অন্যতম প্রিয় ঋতু। আর বর্ষাকাল এলেই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ডালপা বিল রূপ–সৌন্দর্যে একাকার হয়ে উঠে।
বর্ষার এলেই এ বিল পানিতে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে। এতে এই বিলের পরিবেশ হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করতে এই বিলে সময় কাটাতে কিংবা ঘুরতে আসেনন ভ্রমণপিপাসুরা।
এই বিলের বুক চিরে কাঁচা মাটির পথ চলে গেছে এঁকেবেঁকে। এই মাটির পথে এসে ধাক্কা দেয় দুই পাশের পানির ঢেউ। রাস্তার একপাশে ৬০০ একর, আরেক পাশে ৪০০ একর মিলে মোট ১ হাজার একর জমি নিয়ে বিস্তৃত এই ডালপা বিল।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, এই বিলের সিংহভাগ মুরাদনগর উপজেলায়। মুরাদনগরের মানুষ বিলটিকে ডালপা বিল নামে চেনে। আর বাকি অংশটা ব্রাহ্মণপাড়ার মুকিমপুরে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মানুষজন মকিমপুর বিল হিসেবে চেনেন।
কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা সাইফুল হক জানান, প্রকৃতিতে আষাঢ় মাস প্রবেশ করলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এই মাস ডালপা বিলটি কানায় কানায় পানিতে পূর্ণ থাকে।
এ বিলের বিষয়ে স্থানীয় আবদুল মতিন জানান, ‘ এই বিলটিকে কেন্দ্র করে কুটি, কালীগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বাঙ্গরা, বাঞ্চারামপুর, নবীনগর ও সংচাইল বাজার গড়ে উঠেছিল। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা বিলের মাঝখান দিয়ে যাতায়াত করতেন। এখন বিলটি দিয়ে নৌপথে যাতায়াত কমে যাওয়ায় বাজারগুলো প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।’
এ বিলের বিষয়ে পল্লী মঙ্গল সমিতির সভাপতি আবুল কালাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার মানুষ এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিলের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান জানান, ‘এই বিলের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। যদি সেখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে জেলা প্রশাসন থেকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’