বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি)"শহীদ স্মৃতি শর্টপিচ টুর্নামেন্ট" আয়োজনের নামে অমৃত লাল দে কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের কতিপয় শিক্ষার্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘুরে ঘুরে গণহারে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন অমৃত লাল দে কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ ইমন খন্দকার হৃদয় বলে অভিযোগ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি পূর্বে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন।বর্তমানেও তিনি ছাত্রলীগ কে ধারন করেন বলে জানান তার সহপাঠীরা।নাম না প্রকাশের শর্তে একজন বলেন,"হৃদয়ের ফেসবুক জুড়ে এখনো আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্ট্যাটাস এ ভরা।"
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও দপ্তরগুলোতে ঘুরে ঘুরে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাঁদা তোলার এই প্রক্রিয়া তাদের জন্য যথেষ্ট বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা।
তারা আরো জানান, ওই ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাথে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে গণহারে এসোসিয়েশনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে গিয়ে চাঁদা দাবি করছে।
অর্থ দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আয়োজনটি যেহেতু অমৃত লাল দে কলেজ অ্যাসোসিয়েশন থেকে করা হয়েছে সেহেতু ঐ অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যারা যুক্ত তারা এখানে টাকা দিবে আমরা বাইরের যারা আছি তাদের কাছে চিঠি দিয়ে কেন টাকা দাবি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা চাকরি করি এভাবে আমাদের কাছে আসলে তো আমরা ফিরাতে পারি না। বিষয়টি আমাদের জন্য যথেষ্ট বিব্রতকর।
তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য অবমাননাকর। এসব চাঁদাবাজি বন্ধে কতৃপক্ষের সজাগ থাকতে হবে।
অমৃত লাল দে কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমন খন্দকার হৃদয় নিজেকে দৈনিক আজকের সময়ের বার্তা নামক একটি পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার দাবি করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে কোন খেলাধুলার আয়োজন আগে করা হয়নি। সেজন্য আমরা সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের থেকে স্বেচ্ছায় টাকা তুলছি। আমাদের বাজেট ৩০ হাজার টাকার অধিক। সে জন্য আমরা গণচাঁদা তুলছি। তবে আমরা কাউকে কোন প্রকার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, টুর্নামেন্টের বিষয়ে লিখিত অনুমতি নিলেও টাকা উঠানোর বিষয়ে মৌখিক বা লিখিতভাবে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC