জুলাই ৯, ২০২৫

বুধবার ৯ জুলাই, ২০২৫

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনে ২৫ গ্রাম প্লাবিত

ছবি: সংগৃহীত

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হলেও ফেনীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এতে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধে অন্তত ১১টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টা পর্যন্ত অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী, পরশুরাম ও সদর উপজেলার প্লাবিত গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও উজানের পানির ঢলে এসব নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে।

বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তবে উপজেলা প্রশাসনের হিসাবে, পরশুরাম ও ফুলগাজী মিলিয়ে মোট ১১টি স্থানে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। পরশুরামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তাঁর উপজেলার মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর সাতটি স্থানে ভাঙন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে যার মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭টি। পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দুর্গত পরিবারগুলো আসতে শুরু করেছে।

ফুলগাজী উপজেলায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৩৬টি পরিবারের, মোট ৮৫ জন। পরশুরাম উপজেলায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ৫টি পরিবার, মোট ২০ জন। ফেনী সদর উপজেলায় ১টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭টি পরিবার, মোট ২৮ জন।

এদিকে পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে গোমতী নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে।

আরও পড়ুন