মার্চ ১২, ২০২৫

বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

প্রকৃতির স্নিগ্ধ আলিঙ্গনে এক নান্দনিক ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

RisingCumilla - University of Barishal
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র নয়, এটি প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কীর্তনখোলা নদীর শান্ত স্রোত, চারপাশে সবুজ বৃক্ষরাজি, খোলা প্রান্তর ও বৈচিত্র্যময় প্রাণীকুল—সব মিলিয়ে এটি এক স্বপ্নীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে প্রবাহিত কীর্তনখোলা নদী এখানকার অন্যতম সৌন্দর্যের প্রতীক। সকাল-বিকেল নদীর বাতাসে হারিয়ে যাওয়া, জলরাশির মৃদু ঢেউ দেখা কিংবা সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা। প্রকৃতির সঙ্গে এই সংযোগ শিক্ষার্থীদের মনকে প্রফুল্ল ও সৃষ্টিশীল করে তোলে।

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিস্তৃত সবুজ গাছপালা শুধু পরিবেশকে সজীব রাখে না, এটি এক শান্তিপূর্ণ আবহও তৈরি করে। সারি সারি গাছ, ফুলের বাগান ও খোলামেলা মাঠের মধ্যে বসে পড়াশোনা করা কিংবা নিরিবিলি সময় কাটানো এখানে এক স্বতন্ত্র অভিজ্ঞতা। বর্ষায় যখন প্রকৃতি নতুন রূপ ধারণ করে, তখন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেন আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

এখানে শুধু সবুজই নয়, আছে নানা রঙের পাখি আর ছোট প্রাণীর কোলাহল। ক্যাম্পাসে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখে ফেলা টিয়াপাখির ঝাঁক কিংবা গাছের ডালে বসে থাকা শালিকের দল প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আনন্দের উপলক্ষ। সকালের প্রথম সূর্যালোকে পাখির ডাক এক সঙ্গীতময় আবহ তৈরি করে, যা দিনটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যশৈলী ও ল্যান্ডস্কেপ নকশায় প্রকৃতির সঙ্গে এক অপূর্ব সমন্বয় করা হয়েছে। খোলা লেক, উঁচু-নিচু পথ, ছায়াঘন বৃক্ষবেষ্টিত স্থান ও মুক্ত প্রাঙ্গণ সব মিলিয়ে এটি এক চিত্তাকর্ষক পরিবেশ গড়ে তুলেছে। বিকেলে মাঠে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা, নিরিবিলি লেকে বসে চিন্তায় ডুব দেওয়া কিংবা গাছতলায় বসে পড়ার অভ্যাস এই ক্যাম্পাসের সাধারণ দৃশ্য।

প্রকৃতি ও জ্ঞানের এক অনবদ্য সম্মিলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে প্রতিটি দিন এক নতুন সৌন্দর্য আর প্রশান্তির বার্তা নিয়ে আসে। এ ক্যাম্পাস শুধু শিক্ষার জন্য নয়, প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়ারও এক বিশাল সুযোগ করে দেয়।