মে ১৮, ২০২৫

রবিবার ১৮ মে, ২০২৫

‘পেশাজীবী লীগ ‘নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের গোপন তৎপরতা

'পেশাজীবী লীগ 'নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের গোপন তৎপরতা
'পেশাজীবী লীগ 'নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের গোপন তৎপরতা/ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) পেশাজীবী লীগ নামে গোপনে তৎপরতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি “পেশাজীবী লীগ নোবিপ্রবি” নামক একটি মেসেঞ্জার গ্রুপের চ্যাট ফাঁস হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে৷

বৃহস্পতিবার (১৫ মে ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে। ৫৮ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য আদান প্রদান করছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রুপের এডমিন মেজবাহ উদ্দিন পলাশ। যিনি আওয়ামী শাসনামলে নোবিপ্রবি অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের পদধারী নেতাও ছিলেন। পলাশ ছাড়াও উক্ত গ্রুপে আওয়ামী পন্থী বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ফেসবুক আইডিও দেখা গিয়েছে৷

৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রুপের তথ্য ফাঁস হওয়ায় গ্রুপের এডমিন নোবিপ্রবি অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন পলাশ গ্রুপের সদস্যদের আল্লাহর গজব দিয়ে লিভ নেন।

গ্রুপে এই আওয়ালীগ নেতা সর্বশেষ মেসেজ দিয়ে বলেন, আপনারা যারা এই গ্রুপের আমি এডমিন আছি এবং আমাদের তথ্য ছাত্রদের দিয়ে আমাদের হয়রানি করাচ্ছেন, আপনাদের উপর আল্লাহর গজব পড়বো মনে রাখিয়েন।

গ্রুপের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে পলাশ বলেন, এ গ্রুপটি অনেক আগের কিন্তু সম্প্রতি গ্রুপের কার্যক্রম দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আপনার কাছে মনে হচ্ছে গ্রুপটি বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।”

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন,”এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই।অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে সকল ধরণেরর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নোবিপ্রবি প্রশাসন। ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের এক জরুরি সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলাগুলোর প্রেক্ষিতে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) অনুযায়ী জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন