
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নাগরিকদের পুশ ইন বা জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠানোর আশঙ্কায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কঠোর নজরদারি শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী এলাকার স্থানীয় মসজিদগুলোতে মাইকিং করে এই তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বিমানবন্দরের কাছে প্রায় ১৫০ জন ভারতীয় নাগরিককে জড়ো হতে দেখা গেছে। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে এই খবর জানার পরই বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা কয়েকগুণ বাড়ানো হয় এবং রাতভর জোরদার টহল চালানো হয়।
বিজিবি’র এই তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই এলাকার কিছু ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক আরও বাড়ে।
এ বিষয়ে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ ইনের আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।”
বিজিবি এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।