অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অফিস সহকারী ইয়াছিন মিয়াকে (৪৫) আট বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আত্মসাত করা ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকাও ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কুমিল্লার বিশেষ জজ সামছুন্নাহার এই রায় দেন। কুমিল্লা দুদকের উপ-পরিচালক ফজলুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিন মিয়া (৪৫) বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদে কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত স্বাক্ষর জাল করে নকল চালান ও তালিকা তৈরি করেন ইয়াছিন মিয়া। যা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্টেশন ফি, তল্লাশি ফি ও নকলের ফি বাবদ ৫ কোটি কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর মামলা করেন দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান।
দুদক কুমিল্লার উপপরিচালক ফজলুল হক বলেন, বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামি ইয়াছিনকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আত্মসাৎ করা ৫ কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭২ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইয়াছিন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।