
তরুণদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে দেশের ১৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর আঞ্চলিক পর্ব।
এই আয়োজনের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পর্ব। একই দিনে দেশের আরো ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে। বাছাইকৃত প্রতিযোগীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (BdOSN)-এর যৌথ আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা পরিচালিত হচ্ছে।
নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠেয় এ প্রতিযোগিতার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক-কে আহ্বায়ক এবং সিএসটিই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাহিদ আক্তার-কে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন— ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: আসাদুন্নবী এবং আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো বেল্লাল হোসেন, জেলা প্রশাসন প্রতিনিধি জনাব মোঃ ফাহিম হাসান খান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
এই পর্বে নোবিপ্রবিতে ৮০ জন শিক্ষার্থী প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়, ৫০০ জন কুইজ প্রতিযোগিতায়, এবং ৩২ টি দল দাবা খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন অধ্যাপক ড. নাহিদ আক্তার।
প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন—“এই আয়োজন সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিক সহায়তা করে চলছে। এই প্রতিযোগিতার মূল ফোকাস পয়েন্ট হলো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে তরুণদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করা।
এই বিষয়ের উপরে ৪৫ মিনিটের একটি সেশন থাকবে এই অনুষ্ঠানে। আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতা শুধু একটা ইভেন্ট নয়, টেকনোলজি বিষয়ক তরুণদের মেধা, আগ্রহকে ইন্ডাস্ট্রি ৪ এর দিকে ধাবিতে করতেই এই আয়োজন। আমরা চেষ্টা করবো অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি করতে, যাতে তারা জাতীয় পর্বে আরও ভালো করতে পারে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন—”এমন আয়োজন তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামিং ও প্রযুক্তির ভাষা রপ্ত করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা এমন উদ্যোগে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”