রোববার মধ্যরাত থেকে দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে কয়েক বছর ধরে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ২ মাসের এই নিষেধাজ্ঞা শেষে আবার নদী ও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দক্ষিণ উপকূলের জেলেরা।
মৎস্য অফিস বলছে, এবারের অভিযান প্রায় শতভাগ সফল হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে, চার দফায় ১৬০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন অলস সময় কাটিয়ে আবারও নদীতে জাল নিয়ে নৌকা ভাসাবেন জেলেরা। তাই কর্মচঞ্চল জেলেপাড়া।
সরেজমিনে চাঁদপুরের জেলে পাড়াগুলোতে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে ইলিশ ধরার জাল সেলাই করা থেকে শুরু করে নৌকার ভাঙা অংশ মেরামত ও ইঞ্জিনসহ সবকিছু ঠিক করে নিয়েছেন জেলেরা। তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সময় তারা ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছেন। এখন মাছ পেলে সংসারের খরচ জোগাতে পারবে, নয়তো দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক তছলিম ব্যাপারী জানান, চাঁদপুর জেলার প্রায় ৪৪ হাজার ১৪৪ জন নিবন্ধিত জেলে এবার চাল পেয়েছে। দেশের ৬ জেলার ৫টি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। খরা থাকার কারণে সকল মাছে পলি ভালো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভয়াশ্রমে অভিযানের সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অন্য জেলা থেকে রিকশাচালক, দিনমজুর ও অসাধু জেলে এনে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জাটকা ধরেছে। এদের মধ্যে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে।
উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরে ১৫৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭৩৭টি অভিযানে ৩৬৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। জাটকা সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC