এপ্রিল ২০, ২০২৫

রবিবার ২০ এপ্রিল, ২০২৫

নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে নিগার ও শারমিন

নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে নিগার ও শারমিন
নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে নিগার ও শারমিন/ছবি: সংগৃহীত

গতকাল শেষ হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

ঘোষিত এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ব্যাটার শারমিন আক্তার। দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন লেগ স্পিনার রাবেয়া খান। এই একাদশের নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার ফাতিমা সানা।

পাকিস্তান থেকে সর্বোচ্চ চারজন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে তিনজন, বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড থেকে দুইজন করে খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন একাদশে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চমৎকার পারফরম্যান্স দেখিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মূল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, যা আসন্ন সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশের দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হিলি ম্যাথুস ও পাকিস্তানের মুনিবা আলি। ম্যাথুস ২৪০ রান ও আসরের সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়েছেন। ২২৩ রান করেছেন মুনিবা।

ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে রাখা হয়েছে শারমিনকে। তিন হাফ-সেঞ্চুরিতে আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৬ রান করেছেন তিনি।

চার নম্বরে রাখা হয়েছে আসরের সর্বোচ্চ ২৯৩ রান করা স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইসকে। পাশাপাশি বল হাতে ৬ উইকেটও নেন তিনি।

একাদশে উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার। দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৪১ রান করেছেন তিনি। উইকেটের পেছনে ২টি ক্যাচ ও ৩টি স্টাম্পিংও করেছেন নিগার।

ব্যাট হাতে ১০৭ রান ও পেস বোলিংয়ে ১২ উইকেট নিয়ে একাদশের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে পাকিস্তানের সানাকে।

এরপর আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চিনেল হেনরি ও আলিয়া অ্যালাইন। হেনরি ১৭১ রান ও ৪ উইকেট নেন। অ্যালাইন ১২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৬৩ রান করেন।

একাদশে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ফ্রেজার। ৭৭ রান করার পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

একাদশে শেষ দুই খেলোয়াড় হলেন- পাকিস্তানের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার নাস্রা সান্ধু ও সাদিয়া ইকবাল। নাস্রা ১০ উইকেট ও সাদিয়া ৯ উইকেট নেন।

৬ উইকেট নিয়ে দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লেগ স্পিনার রাবেয়া।

বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।