অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের ঝলমলে সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন তরুণী স্ট্রাইকার সাগরিকা। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কল্যাণেই বাংলাদেশ যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ, 18 ফেব্রুয়ারি, এই মেধাবী খেলোয়াড়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।
এছাড়াও, বেলা আড়াইটায় বাফুফের টার্ফে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়নের ট্রফিও দেওয়া হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মহানাটকীয় ফাইনালে টাইব্রেকারে সমতায় থাকার পর ম্যাচ কমিশনার টসের মাধ্যমে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ দল টস মানতে অস্বীকার করে। পরে টস বাতিল করে দুই দলকে আবার টাইব্রেকার খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত তাতে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এই বিতর্কের জের ধরে দুই দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। সেদিন ভারতকে ট্রফি দেওয়া হলেও, বাংলাদেশের জন্য বানানো হয়েছে একই রকম আরেকটি ট্রফি।
সাফের প্রথম ম্যাচেই নেপালের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন সাগরিকা। ভারতের বিপক্ষেও তার একমাত্র গোলে জয়ী হয় বাংলাদেশ। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশের সমতাসূচক গোলটিও করেন এই তরুণী।
চার গোল নিয়ে যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন সাগরিকা। আজ তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন, কিন্তু সর্বোচ্চ গোল তালিকায় যৌথভাবে থাকা বাকি দু’জন ভারতীয় এখনই পুরস্কার পাচ্ছেন না।
টুর্নামেন্টের ফেয়ার–প্লে পুরস্কার পাচ্ছে নেপাল। আগামী মার্চে নেপালে সাফের আরেকটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের সময় ভারতের কর্মকর্তাদের কাছে দেশটির দুই সর্বোচ্চ গোলদাতার ট্রফি ও নেপালকে ফেয়ার প্লে’র ট্রফি বুঝিয়ে দেবে সাফ।