জুন ১, ২০২৫

রবিবার ১ জুন, ২০২৫

নবীনগরে রিপন মুন্সির মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান

Rising Cumilla -Ripon Munshi's mediation ends long-standing conflict in Nabinagar
ছবি: প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামে গত ১৭ মে ২০২৫ সালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টিয়ারার মুন্সি বাড়ি ও পশ্চিম পাড়ার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ১১ জন গুরুতর আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতাল ও ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চলে যায়।

সংঘাতের পর থেকে পুরুষ শূন্য এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছিলো। কোর্টে হয়েছিলো উভয় পক্ষের মামলা।

স্থানিয়দের মতে, গত ১৭ মে দুধ বিক্রি করতে গিয়ে রিমন মিয়া ও সাগর মিয়ার কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। আরো জানা যায়, টিয়ারায় দীর্ঘ দিন আগে ত্রিপল মার্ডারকে কেন্দ্র করে মুন্সি বাড়ি ও পশ্চিম পাড়ার মধ্যে সংঘাত লেগেই থাকতো। কখনো কথা কাটাকাটি, কখনো পুকুর নিয়ে, কখনো তুচ্ছ ঘটনাকে নিয়ে লেগে যেতো সংঘাত। এতে করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জড়িয়ে মামলা-হামলায় বিব্রত ছিলো পরিবেশ। এতে উন্নয়ণ ও সম্প্রতি থেকে পিছিয়ে ছিলো গ্রামটি।

পরে স্থানিয়দের সদইচ্ছা ও স্পাইডার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রিপন মুন্সি’র মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার (৩০ মে ২৫ইং) বিকালে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে টিয়ারার উভয় পক্ষের ও স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দীর্ঘ দিনের সংঘাতে অবসান ঘটে।

সমঝোতা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল করিম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুনুর অর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ, জাকির মহাজন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম শিশু, কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল ইমরান, বিটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর, নাটঘর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিজ উদ্দিন, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহমেদ, কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দুলাল মিয়াসহ অন্যান্যরা।

শিল্পপতি রিপন মুন্সি বলেন, আশা করছি আর কখনো টিয়ারা কোন ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষ হবে। শুধু টিয়ারায় কেন উপজেলার কোথাও যেনো এ ধরনের হানাহানি না হয়। এছাড়া গ্রামের সকল ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ ধরনের উদ্যোগ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসায়।

আরও পড়ুন