জুলাই ৯, ২০২৫

বুধবার ৯ জুলাই, ২০২৫

নবীনগরে রাস্তায় বাঁশের বেঁড়ার নিউজে সাংবাদিকদের নিয়ে অশ্লীল ফেসবুক পোস্ট আ.লীগ নেতার!

Rising Cumilla -AL leader's obscene Facebook post about journalists in news of bamboo fence on the road in Nabinagar!
ছবি: প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে সরকারি রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রামবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছেন কবরস্থানে যাতায়াতকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই ) দুপুরে ফতেহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির পাশের সরকারি রাস্তার ওপর বাঁশের বেড়া দেন বসু মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তার দাবি, জায়গাটি তার ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি। বেড়া দেওয়ার পর ওই রাস্তা দিয়ে ঈদগাহ ও কবরস্থানে যাতায়াত একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের একজন সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এই রাস্তাটি আমাদের পৈত্রিক ভোগদখলীয় জমির পাশ দিয়ে যাওয়া সরকারি রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই পুরো গ্রামবাসী কবরস্থানে যাতায়াত করে। কিন্তু বসু মিয়াসহ ছয়জন মিলে বাঁশের বেড়া দিয়ে সেটি বন্ধ করে দেন।”

তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হয়।”

এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বসু মিয়া, এমরান হোসেন, সোহেল মিয়া, সুমন মিয়া, রফিকুল মিয়া ও লিটন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. বারেক মিয়া জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে গ্রামের প্রয়াত ইউপি সদস্য মোহন মেম্বার এই রাস্তাটি তৈরি করেন। তখন থেকেই এটি ব্যবহার করে আসছেন গ্রামবাসী। এখন সেটি বন্ধ হওয়ায় কবরস্থানে লাশ নেওয়া নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়াসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের মদদেই রাস্তার ওপর বেড়া বসানো হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সফর আলী বলেন, “এই রাস্তা আমার বাবার সময় থেকেই ছিল। আমি নিজেও এটি সংস্কার করেছি। অথচ এখন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা এটি বন্ধ করে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অমানবিক।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত বসু মিয়া বলেন, “আমি আমার নিজস্ব জমিতে বেড়া দিয়েছি। কারও চলাচলে বাধা দিইনি। রাস্তার জায়গা আমার জমির মধ্যেই পড়ে।”

এছাড়া নবীনগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ম্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী, নবীনগর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সাংবাদিক মো. সফর আলী ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাস্তায় বাঁশের বেঁড়া দিয়ে দখলের নিউজ করলে তাদেরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন নামে-বেনামের ফেসবুক আইডি দিয়ে অশ্লীল ও মানহানিকর ফেসবুক পোস্ট করা হচ্ছে। এতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন