ফুটবলার ও কোচের দ্বন্দ্ব নিয়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল বর্তমানে ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ইস্যু। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে খেলতে না চাওয়ার কথা জানিয়ে অবসরের হুমকি দিয়েছেন সাফজয়ী ফুটবলারদের বড় একটি অংশ। সেই ঘটনার ঢামাঢোলের মধ্যে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন মাতসুশিমা সুমাইয়া।
সাফজয়ী এই তারকা অনলাইনে ‘হত্যা ও ধর্ষণের’ হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন!। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাপানি বংশোদ্ভূত নারী ফুটবলার।
সুমাইয়ার দেওয়া পোস্টটি নিচে রাইজিং কুমিল্লার পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
কিন্তু আজ আক্ষেপ নিয়ে বলতে হচ্ছে, আমার শিক্ষা, পরিবার, ঈদ-সব কিছু এমন একটি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি, যারা আমাদের সংগ্রামগুলোর প্রশংসা করতে জানে না।
ফুটবল খেলার জন্য মা-বাবার সঙ্গে লড়াই করেছি এই বিশ্বাসে যে হয়তো একদিন দেশ আমার পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। কেউ আসলে ক্রীড়াবিদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করে না। যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সে সম্পর্কে নিজের এবং সতীর্থদের নিয়ে ইংরেজিতে একটি চিঠি লেখার ন্যূনতম দক্ষতা আমার আছে।
কয়েক দিন ধরে আমি অগণিত মৃত্যু এবং ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি- যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা আমাকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে যা কল্পনাও করিনি। জানি না এই মানসিক আঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে কত দিন লাগবে। তবে এটা জানি, কেবল স্বপ্ন পূরণের জন্য কাউকে যেন এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।’
প্রসঙ্গত, কোচ বাটলারকে নিয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের ১৮ ফুটবলার। তাদের অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে বাফুফে। পরবর্তীতে বিশেষ এই কমিটি গত ২ ফেব্রুয়ারি বয়কটের ডাক দেওয়া ফুটবলারদের মধ্যে সাবিনা-সুমাইয়াসহ ৭ জনের জবানবন্দি নিয়েছে। এর আগে বাফুফে সভাপতির কাছে পাঠানো লিখিত অভিযোগের সঙ্গে ইংরেজি চিঠি লিখেছিলেন জাপানিজ বংশোদ্ভুত ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুসিমা।