জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ইচ্ছাকৃতভাবে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। সেসময় এটি ব্যাপক আলোড়ন তোলে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই বছর ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
একই বছরের ৪ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তিথির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অন্যদিকে তিথি সরকারের স্বামী শিপলু মল্লিককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
উল্লেখ্য, তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জবি শাখার দফতর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জবির রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।