
কদিন আগেই থেমে গেছে রূপকথার গল্প। আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে গেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মা। তবে বিচ্ছেদের পরও এই তারকা দম্পতিকে নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। জানা গেছে, শ্বশুরবাড়ি হরিয়ানায় থাকতে ধনশ্রীর আপত্তি ছিল। এই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত, যা শেষ পর্যন্ত সাজানো সংসার তছনছ করে দেয়।
সম্পর্কের টানাপোড়েন অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত তিন বছর ধরে এই দম্পতির মধ্যে নানা সমস্যা চলছিল। কখনও কাদা ছোড়াছুড়ি, কখনও বিচ্ছেদের আলাপ, আবার কখনও একা থাকা বা নতুন কাউকে খোঁজার মতো ঘটনাও ঘটেছে। অবশেষে তাদের সম্পর্কের পরিণতি এলো।
বিনোদন জগতের সেই অজানা সাংবাদিকের সূত্র ধরে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হরিয়ানা না মুম্বাই, কোথায় তারা থাকবেন—এই নিয়েই সমস্যার শুরু। চাহালের বাড়ি হরিয়ানায়, তাই বিয়ের পর তারা সেখানেই থাকতে শুরু করেন। তবে প্রয়োজনে মুম্বাইয়ে যেতেন।
সূত্রের খবর, ধনশ্রী কিছুতেই হরিয়ানায় থাকতে রাজি ছিলেন না। তিনি মুম্বাইয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, চাহাল পরিবার ছেড়ে থাকতে চাননি। এই মতবিরোধই তাদের বিচ্ছেদের মূল কারণ বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে চাহাল বা ধনশ্রী কেউই মুখ খোলেননি।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের বান্দ্রার ফ্যামিলি কোর্টে তাদের চূড়ান্ত শুনানি হয়। সেখানে দুজনেই সম্মতিতে বিচ্ছেদের কথা জানান। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যুবি ও ধনশ্রী বিয়ে করেন। লকডাউনের সময় ধনশ্রীর কাছে নাচের প্রশিক্ষণ নেন চাহাল। প্রশিক্ষণের সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা পরে বিয়েতে পরিণতি পায়। তবে তাদের সম্পর্কে একাধিকবার ফাটলের গুঞ্জন শোনা গেছে। এবার সেই গুঞ্জন সত্যি হলো।