নিজের এলাকা দেবীদ্বার প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, দেবীদ্বারে কোনোভাবেই চাঁদাবাজিকে স্থান দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবেই সবাইকে মোকাবিলা করতে হবে। দেবীদ্বারের অবস্থা এমন হয়েছে, যারা রাজনীতিতে আসছে, তারা বিদেশে থাকছে এবং দেশে এসে পৈতৃক কোটায় ক্ষমতায় এসেছে। তাদের নিজেদের মধ্যে পাতানো বিরোধী বিরোধী খেলা আছে, অর্থাৎ সরকারে গেলেও আমার পরিবার, আবার বিরোধী দলে গেলেও আমার পরিবার।
আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেবিদ্বার উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে হাসনাত এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ১৬ বছর দেবীদ্বারের মানুষের ওপর জলুম নির্যাতন করেছেন তাদের সমঝোতার মাধ্যমে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনারা যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আপনারা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন এবং আইনি সহায়তা নেবেন। এ ক্ষেত্রে যারা বাধা দেবে তাদের নামগুলো প্রকাশ করবেন।
বক্তেব্য তিনি আরও বলেন, দেবিদ্বারের যানজট নিরসনে রোড ডিভাইডার করার কাজ শুরু করা হচ্ছে এবং বাজারও স্থানান্তর করা হবে। কেউ যাতে সিন্ডিকেট করে বাজারে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সে জন্য খুব শিগগির পৌর ব্যবসায়ী সমিতিকে ঢেলে সাজিয়ে নিবার্চনের মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়ীবান্ধব কমিটি গঠন করা হবে।
হাসনাত আরও বলেন, দেবিদ্বারে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, আমি বিভিন্ন ফাউন্ডেশনে গিয়ে গিয়ে তাদের জন্য অর্থ সহায়তা এনেছি। ইতোমধ্যে দেবিদ্বারের ১০ শহীদ পরিবারের মাঝে ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই শহীদের নাম আমার কাছে পরে এসেছে। আহতদের দেওয়া হয়েছে ছয় লাখ টাকা। এটি সরকারি কোনো অনুদান নয়। সরকার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডশন করেছে। ওই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আরও অনুদান দেবে।
এর আগে সকালে একই হলরুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেবীদ্বার উপজেলায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।