
হাঁটি হাঁটি পা পা করে দেড় যুগে প্রবেশ করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সাতটি বিভাগের মধ্যে ইংরেজি বিভাগ অন্যতম। বিভাগটি ২০০৭ সালের ৬ মে মাত্র দুই জন শিক্ষকের প্রাধান্যতায় যাত্রা শুরু করে। বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন একজন শিক্ষক ছিলেন— লায়লা আক্তার এবং অন্যজন বর্তমান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করিম।
বিভাগে বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলে মোট শিক্ষার্থী ৩৬০ জন, শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন। তন্মধ্যে অধ্যাপক তিনজন, সহযোগী অধ্যাপক দুইজন, সহকারী অধ্যাপক নয়জন এবং প্রভাষক তিনজন। এছাড়াও মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন খান বিভাগের সেকশন অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস। তিনি ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এর আগে তিনি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। সহকারী অধ্যাপক তারিন বিনতে এনাম বিভাগের ছাত্র পরামর্শের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে বিভিন্ন সময় বিভাগের শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার, কলা অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, হল প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিভাগের সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে ‘লিবারেল মাইন্ডস’ নামের একটি সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এর অধীনে চারটি বিশেষ উইং রয়েছে। সেগুলো হলো—ডিবেট অ্যান্ড লাংগুয়েজ ক্লাব, ইংলিশ থিয়েটার, রিডিং সার্কেল, কালচারাল অ্যাণ্ড মিউজিক ক্লাব। লিবারেল মাইন্ডসের বর্তমান আহ্বায়ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান।
বিভাগের বিভিন্ন আবর্তনের শিক্ষার্থীরা জানান, ইংরেজি বিভাগ আমাদের অস্তিত্বের স্মারক। বিভাগের সকল শিক্ষক, সিনিয়র,জুনিয়র সবার আন্তরিকতায় আমরা বিমুগ্ধ। বিভাগের ‘ফরেস্ট অব আর্ডেন’ আমাদের সতেজ নির্মলতার অনন্য প্রতিমা। ক্লাসের ফাঁকে কিছুটা সময় পেলেই আমরা সেখানে আড্ডা দিই। এখন বিভাগের পাশ দিয়েই ‘ফরেস্ট অব আর্ডেনে’ যাওয়ার নতুন রাস্তা হয়েছে। যা আমাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করিম বলেন, ” এই বিভাগ থেকে পাস অনেক শিক্ষার্থী দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে। বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকিং সেক্টরসহ বিভিন্ন পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা আরও ভালো কিছু করবে। সেই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এতে করে শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।”