
পারিবারিক কলহের জেরে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় অভিযোগ উঠেছে, দক্ষিণ যৌতা গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেছেন তার স্ত্রী।
ভুক্তভোগী ৩০ বছর বয়সী কাওসার হাওলাদার ওই গ্রামের কামাল হাওলাদারের ছেলে।
আজ শুক্রবার (৯ মে) দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে ঢাকায় কাওসার ও তার স্ত্রীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি গ্রামে আসেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, কাওসারের স্ত্রী পূর্বে দুটি বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তানও রয়েছে, যা বিয়ের সময় গোপন করা হয়েছিল। এই বিষয়টি জানার পর থেকেই তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
আহত কাওসার ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়ার পর আমি ঘুমাতে যাই। তখন আমার স্ত্রী আমাকে সময় দিতে বলে। আমি ফুটবল খেলতে যাওয়ার কথা বললে সে আমার সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লে সে ধারালো কিছু দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত স্ত্রী ভিন্ন অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, “কাওসারের সাথে পরিচয় হওয়ার পর সে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আমার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ায় এবং আমার বাসার প্রায় দুই লাখ টাকার জিনিসপত্র বিক্রি করতে বাধ্য করে। এরপর সে আমাকে বিয়ে করে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু এখানে আসার পর থেকে কাওসার ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে ঘর থেকে বের হতে দিত না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কাওসারের মা সবসময় আমাকে নজরে রাখতেন। সে আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমি এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।”
দশমিনা থানার ওসি মোহাম্মাদ আবদুল আলীম এই বিষয়ে বলেন, “খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় যদি কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”