
দেশব্যাপী তীব্র তাপদাহ চলমান। এই তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অফিস জারি করেছে ‘হিট অ্যালার্ট’। তীব্র গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে হিটস্ট্রোক, হিটক্র্যাম্প, হিট এক্সারশনের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশংকা বেড়েছে।
তবে প্রচণ্ড দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে মানতে হবে কিছু নির্দেশনা। চলুন জেনে নেই-
বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন যারা:
- শিশু
- বয়স্ক ব্যক্তি
- শ্রমজীবী ব্যক্তি (রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক)
- যাদের ওজন বেশি
- উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা
হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া
- গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া
- মাথা ঘোরা
- তীব্র মাথা ব্যথা
- ঘাম কমে যাওয়া
- ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা
- বমি হওয়া
- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
- শ্বাস কষ্ট
- মানসিক বিভ্রম
- খিঁচুনি
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াবেন যেভাবে:
- দিনের বেলা বিশেষ করে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সম্ভব হলে রোদ এড়িয়ে চলুন।
- বাইরে বের হলে মাথা ঢেকে রাখতে ছাতা, টুপি/ক্যাপ ব্যবহার করুন।
- ঢিলেঢালা, হালকা রঙের সুতি পোশাক ব্যবহার করুন।
- শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লেবুর শরবত পান করুন।
- দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন খান।
- সুযোগ থাকলে দিনের বেলা একটানা শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন।
- নিয়মিত/সম্ভব হলে একাধিকবার গোসল করুন।
- সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাসি ও রাস্তার পাশের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- দিনের বেশিরভাগ সময় ছায়ায় থাকার চেষ্টা করুন।
- রুমের পরিবেশ ঠান্ডা রাখুন।
- বেশি অসুস্থবোধ করলে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা:
কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করতে হবে তা হলো-
- হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
- রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
- শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।