
“ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস” প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে সনদ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশে জোর দিলেন আইসিটি সচিব।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের “ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি)” পরিচালিত ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “সরকার শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার নানাবিধ প্রকল্প গ্রহণ ও বরাদ্দ দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে যোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক মানবসম্পদে পরিণত করবে; এমনটাই সরকারের প্রত্যাশা।”
তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের আহ্বান জানান, অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা যেন দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করে নিজের এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সদিচ্ছাই মানুষকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, যিনি প্রশিক্ষণার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে তাদের সাফল্য কামনা করেন।
সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআইটির পরিচালক অধ্যাপক ড. রিসালা তাসিন খান। সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন।
“ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস” শীর্ষক এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। কর্মসূচিতে ৬৩টি ব্যাচের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১ হাজার ১৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগকে প্রশিক্ষণার্থীরা স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।