মাছ চাষে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত ময়মনসিংহের মাছচাষি যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণের ১৫টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভেসে গেছে পুকুরের ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭৩ লাখ টাকার মাছ।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ও শুক্রবারের টানা দুদিনের অতিবৃষ্টিতে গৌরীপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সংসারে অস্বচ্ছলতার কারণে একসময় খাল-বিলে মাছ ধরতেন যতীন্দ্র। কাঁধে ভার নিয়ে মাছের পোনা বিক্রির পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করেছেন অন্যের পুকুরে। এভাবেই ৫শ টাকা জমিয়ে ১৯৯৫ সালে একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছ চাষের আয়ে ২০০৫ সালে বাহাদুরপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন বর্মণ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র।
মাছের রেণু পোনা উৎপাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ গত ২৫ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৩।
বর্মণ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও হ্যাচারিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুইদিনের বৃষ্টিতে যতীন্দ্রের ১৫টি পুকুর তলিয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে হ্যাচারির বিভিন্ন প্রজাতির ৪০ লাখ টাকার ধানিপোনা (৮০ লাখ), ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বড় পোনা (৫ টন), ২৬ লাখ টাকার ব্রুট মাছ (৩টন)।
হ্যাচারির শ্রমিক কালা মিয়া বলেন, বৃষ্টির পানি বাড়ার সাথে সাথে আমরা পুকুরের চারপাশে নেট দিয়ে মাছ আটকানো চেষ্টা করেছি। কিন্ত বৃষ্টির পানির চাপ এতই বেশি ছিল যে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, গত ৫২ বছরে আমরা এতো বৃষ্টির পানি দেখিনি। ব্যাংকে লোন নিয়ে হ্যাচারির ব্যবসা করছিলাম। কিন্তু অতিবৃষ্টিপাতে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ৭৩ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে উঠবো আর লোন কিভাবে পরিশোধ করবো বুঝতে পারছি না।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, অতিবৃষ্টিতে উপজেলার ৭০ ভাগ পুকুর পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। আমরা যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ সহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC